করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও অস্ত্র ও সামরিক শক্তি প্রদর্শনীর প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার ছুটির দিনে বৃহৎ পরিসরে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে।
এই কুচকাওয়াজে দেশটি তাদের সর্বসাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাস্ক পরে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এরই মধ্যে উত্তর কোরীয়রা জড়ো হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে আছে কনসার্ট, আর্ট ও শিল্প প্রদর্শনী, লাইট শো’ এবং আরও কিছু কর্মসূচি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা বলেছে, ২০১৭ সালের পর এবারই উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে কুচকাওয়াজ সরাসরি সম্প্রচার করার প্রস্তুতি চলছে বলে আভাস মিলেছে। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ভাষণও দিতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া এই কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে নতুন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) প্রদর্শন করতে পারে।
এছাড়াও, দেশটি সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রদর্শন করতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী লি-ইন ইয়াং আইনপ্রণেতাদেরকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে সম্ভবত তাদের শক্তি জাহির করার চেষ্টা নিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বা পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর চেয়ে এ পন্থায় শক্তির প্রদর্শনী কিছুটা কম উস্কানিমূলক।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর থেকে এ পর্যন্ত কুচকাওয়াজে আইসিবিএম পদর্শন করেনি।
কিন্তু পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে দুপক্ষের আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং উত্তর কোরিয়া উত্তরোত্তর ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।